কিশোরগন্জ সংবাদদাতা:কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নির্দেশনায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের দিয়ে চালু করা হয়েছে ৯টি ট্রেডে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ। যার মধ্যে কারাবন্দীদের দিয়ে জুতা তৈরী সহ রয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা।
কিশোরগঞ্জের জেল সুপার মোঃ বজলুর রশিদ জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জের নতুন কারাগারকে বন্দিশালার পরিবর্তে সংশোধনাগারে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে তৈরি করা হচ্ছে একটি জুতার শোরুম। যে শোরুমের জুতা তৈরী হচ্ছে কারাগারে বন্দীদের দিয়ে, যা বিক্রির লভ্যাংশের ৫০ ভাগ দেওয়া জুতা তৈরির কাজে নিয়োজিত বন্দিদের। এছাড়াও এখানে বন্দীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে গানের দল। নিরক্ষর বন্দিদের জন্য লেখাপড়া শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বন্দীদের জন্য জুতা তৈরী ছাড়াও, সেলাই, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজ, বৃক্ষরোপণ সহ মোট ৯টি ট্রেডে চালু হয়েছে।
এর মধ্যে কারাগারে ভিতরেই হচ্ছে বিভিন্ন রকম শাকসবজির চাষ। কীটনাশকমুক্ত বিশুদ্ধ সেই শাকসবজি কারাবন্দিদের খাওয়ানো হচ্ছে। গানের দলের লোকদের নিয়ে দেশাত্মবোধক, মাদক বিরোধী ও আত্ম শুদ্ধিকরণে গান গাওয়া ও বিনোদনের পাশাপাশি দেশে প্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। যারা জুতা তৈরী করেন, তাদের জন্য জুতা তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করা হচ্ছে, তারা সুন্দর ও টেকসই জুতা তৈরিও করছেন।
এর আগে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে কারাগার পরিদর্শনে আসেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ। তখন তাঁকে বন্দিদের তৈরি একজোড়া চামড়ার জুতা উপহার দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিঁনি যখন আবার কিশোরগঞ্জ সফরে আসেন, তখন সেই জুতা জোড়াই পরে আসেন।
কিশোরগঞ্জের কারাগারের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ সহ গুনিজনেরা। এবং তারা আশাবাদী এই কার্যক্রম পুরোপুরি সফল হলে, পুরো দেশের কারাগার ব্যবস্থার জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়াবে।
রিপোর্ট:আলী হায়দার